প্রাচীন বাংলার ইতিহাস

- সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী | - | NCTB BOOK
5.5k
5.5k

ইন্দো-আর্যদের আসার পর অঙ্গ, বঙ্গ এবং মগধ রাজ্য গঠিত হয় খ্রিষ্টপূর্ব দশম শতকে । এই রাজ্যগুলি বাংলা এবং বাংলার আশেপাশে স্থাপিত হয়েছিল । অঙ্গ বঙ্গ এবং মগধ রাজ্যের বর্ণনা প্রথম পাওয়া যায় অথর্ববেদে প্রায় ১২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে । মহাভারতে পৌন্ড্র রাজ বাসুদেব এর উল্লেখ পাওয়া যায় । 

common.content_added_by

মৌর্য যুগে বাংলা

1k
1k

৩২৭-৩২৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণের সময় থেকে প্রকৃত ইতিহাস পাওয়া যায়। গ্রিক লেখকদের কথায় বাংলাদেশে 'গঙ্গারিডাই' নামে একটি শক্তিশালী জাতির বাসস্থান ছিল ভাগীরথী ও পদ্মার মধ্যবর্তী অঞ্চলে। গ্রিক গ্রন্থকারগণ গঙ্গারিডই ছাড়াও প্রাসিতায় নামে অপর এক জাতির উল্লেখ করেছেন। আলেকজান্ডারের আক্রমণের সময় বাংলার রাজা মাধাদি দেশ জয় করে পাঞ্জাব পর্যন্ত রাজ্য বিস্তার করেছিলেন। তিনি ছিলেন পাটালিপুত্রের নন্দবংশীয় কোন রাজা।

জেনে নিই

  • প্রাচীন বাংলা মৌর্য শাসনের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। এটি সর্বভারতীয় প্রথম সাম্রাজ্য।
  • চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে বলা হয় ভারতের প্রথম সম্রাট। চন্দ্রতপ্ত মৌর্যের রাজধানী ছিল- পাটালিপুত্র।
  • মহাস্থানগড়ে মৌর্য বংশ প্রতিষ্ঠিত হয় ৩২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে নন্দবংশকে পরাজিত করে।
  • আলেকজান্ডারের ভারত ত্যাগের পর তার সেনাপতি সেলুকাসকে পরাজিত করেন- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।
  • গ্রিক দূত মেগাস্থিনিসকে দূত হিসেবে চন্দ্রগুপ্তের রাজদরবারে প্রেরণ করেন- সেলুকাস।
  • গ্রিক পরিব্রাজক মেগাস্থিনিস কয়েক বছর অবস্থান করে মৌর্য শাসন সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা ইন্ডিকা নামক গ্রন্থে লিপিবন্ধ করেন।
  • ইন্ডিয়া নামকরণ করেন- প্রাচীন গ্রীকরা।
  • মৌর্যবংশের মোট শাসক ছিলেন- ৯ জন।

common.content_added_and_updated_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

অশোক মৌর্য
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
সমুদ্র গুপ্ত
কোনটি নয়
অশোক মৌর্য
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
সমুদ্রগুপ্ত
এর কোনোটিই নয়
কুমিল্লার ময়নামতি
রাজশাহীর পাহাড়পুর
বগুড়ার মহাস্থানগড়
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও

বিন্দুসার

814
814

বিন্দুসার মৌর্য বংশের দ্বিতীয় শাসক এবং রাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের পুত্র। পিতা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারসূত্রে পিতৃ-রাজত্ব লাভ করেন বিন্দুসার। সিংহাসন আরোহণকালে তিনি অমিত্রঘাত' অর্থাৎ শত্রু নিধনকারী উপাধি লাভ করেন। বিন্দুসারের রাজত্বকালের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল তক্ষশীলার বিদ্রোহ (পাকিস্তান)। তক্ষশীলার এই বিদ্রোহ দমন করেছিলেন যুবরাজ অশোক। বিন্দুসারের রাজত্বকালে একমাত্র শ্রেষ্ঠ অর্জন ছিল- কলিঙ্গ জয়। সম্রাট অশোকও উত্তরাধিকার সূত্রে সিংহাসনের অধিকারী হয়েছিলেন।

common.content_added_and_updated_by

সম্রাট আশোক

1k
1k

উত্তর বাংলায় মৌর্য শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। সম্রাট অশোকের (তৃতীয় শাসক) রাজত্বকালে। এসময় অঞ্চলটি মৌর্যদের একটি প্রদেশে পরিণত হয়েছিল। এ প্রদেশের রাজধানী ছিল প্রাচীন পুণ্ড্রনগর। সম্রাট অশোকের একটি শিলালিপি পাওয়া যায় মহাস্থানগড়ে। সম্রাট অশোক সিংহাসন আরোহনে নিজ ভ্রাতাদের নির্মমভাবে হত্যা করেন ফলে তার উপাধি হয় চণ্ডাশোক। সম্রাট অশোক কলিঙ্গ যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন। সম্রাট অশোক বৌদ্ধধর্মকে বিশ্বধর্মে পরিণত করেন। এজন্য তাকে বৌদ্ধ ধর্মের কনস্ট্যানটাইন (রোমান সম্রাট) বলা হয়।

common.content_added_by

চাণক্য

655
655

চাণক্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিষয়ে একজন দিকপাল ছিলেন। চাণক্য ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ও বিন্দুসারের প্রধানমন্ত্রী ও উপদেষ্টা। চাণক্যের ছদ্মনাম 'কৌটিল্য' আর উপাধি- ‘বিষ্ণুখণ্ড’। কৌটিল্য রচিত গ্রন্থের নাম- 'অর্থশাস্ত্র' । ভারত চলে চাণক্য নীতিতে।

তার একটি উক্তিঃ “যে রাজা শত্রুর গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা করতে পারে না এবং শুধু অভিযোগ করে যে তার পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তাকে সিংহাসনচ্যুত করাই উচিত।"

common.content_added_by

গুপ্ত যুগে বাংলা

1.6k
1.6k

প্রথম চন্দ্রগুপ্ত

813
813

ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণযুগ হিসেবে বিবেচনা করা হয় গুপ্ত যুগকে। গুপ্ত বংশের নামমাত্র প্রতিষ্ঠাতা শ্ৰীগুপ্ত । গুপ্ত বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয় প্রথম চন্দ্রগুপ্তকে। প্রথম চন্দ্রগুপ্তের উপাধি মহারাজাধিরাজ। চন্দ্রগুপ্ত সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটালিপুত্রে। গুপ্তদের সময়ে রাজতন্ত্র ছিল সামন্ত নির্ভর। গুপ্ত রাজাদের অধীনে বড় কোনো অঞ্চলের শাসককে বলা হতো মহাসামন্ত। মৌর্যদের মতো এদেশে গুপ্তদের রাজধানী ছিল মহাস্থানগড়ের পুণ্ড্রনগর।

common.content_added_by

সমুদ্রগুপ্ত

776
776

সমুদ্র গুপ্তের শাসনকাল ছিল ৩৪০-৩৮০ খ্রিস্টাব্দ। গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক সমুদ্রগুপ্ত সমগ্র বাংলা জয় করেন। তাঁকে প্রাচীন ভারতের "নেপোলিয়ন" বলা হয়। সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে সমগ্র বাংলা জয় করা হলেও সমতট ছিল করদ রাজ্য।

common.content_added_by

দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত

632
632

সমুদ্রতন্ত্রের মৃত্যুর পর পাটালিপুত্রের সিংহাসনে বসেন দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত। তাঁর উপাধি ছিল 'বিক্রমাদিত্য'। তিনি নবরত্নের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।

যেমনঃ

  • কাপিলাস (মেঘনৃত)
  • অমরসিংহ (অমরকোষ)
  • বরাহমিহির (বৃহৎ সংহিতা)

দ্বিতীয় চন্দ্রখণ্ডের শাসনামলে চৈনিক তীর্থযাত্রী ফা-হিয়েন ভারতবর্ষে এসেছিলেন। ফা-হিয়েন-ই প্রথম চীনা পরিব্রাজক হিসেবে ভারতবর্ষে এসেছিলেন। তাঁর ভারত সফরের ৭টি বইয়ের মধ্যে ফো-কুয়ো-কিং বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

common.content_added_by

গৌড় রাজ্য, শশাঙ্ক

1.5k
1.5k
common.please_contribute_to_add_content_into গৌড় রাজ্য, শশাঙ্ক.
common.content

শশাঙ্ক

2.1k
2.1k

শশাঙ্ক প্রথম গৌড়ে রাজ্য স্থাপন করেন। শশাঙ্কের ধর্ম ছিল- শৈব। তিনি ছিলেন প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে প্রথম সার্বভৌম নৃপতি রাজা । গুপ্তদের অধীনে বড় অঞ্চলের শাসকদের পদবি ছিল- মহাসামন্ত। শশাঙ্কের রাজধানীর নাম- কর্ণসুবর্ণ (মুর্শিদাবাদে অবস্থিত)। শশাঙ্ক ছিলেন গুপ্ত রাজা মহাসেনগুপ্তের একজন মহাসামন্ত অথবা ভ্রাতুষ্পুত্র। হিউয়েন সাঙ রাজা শশাঙ্ককে বৌদ্ধ ধর্মের নিগ্রহকারী হিসেবে অভিহিত করেছেন। শশাঙ্ক মৃত্যুবরণ করেন- ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দের দিকে ।

common.content_added_and_updated_by

মাৎস্যন্যায়

900
900

শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলার ইতিহাসে প্রায় ১০০ বছর (সপ্তম-অষ্টম শতক) ধরে এক দুর্যোগপূর্ণ অন্ধকারময় যুগের সূচনা সময়কালকে মাৎস্যন্যায় বলা হয়। বাংলার অরাজকতার সময়কালকে পাল তাম্রশাসনে আখ্যায়িত করা হয়েছে মাৎস্যন্যায়। পুকুরে বড় মাছ ছোট মাছকে ধরে গিলে ফেলার মতো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিকে বলে মাৎস্যন্যায়। এ অরাজকতার যুগ চলে একশ বছরব্যাপী। অষ্টম শতকের মাঝামাঝি এ অরাজকতার অবসান ঘটে পাল রাজত্বের উত্থানের মধ্য দিয়ে। [তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (দশম শ্রেণী)]

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

খলজি শাসন আমলে
সেন শাসন আমলে
মোগল শাসন আমলে
পাল তাম্র শাসন আমলে

হর্ষবর্ধন ও হিউয়েন সাঙ্গ

750
750

হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালের চীনা বৌদ্ধ পণ্ডিত হিউয়েন সাঙ ভারত সফরে আসেন। হিউয়েন সাঙ নালন্দা মহাবিহারের অধ্যক্ষ শীলভদ্রের কাছে ১৪ বছর বৌদ্ধ ধর্মশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। হিউয়েন সাত সিন্ধি নামে এক গ্রন্থ রচনা করেন। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক নাগার্জুন, আর্যদেব, শীলভদ্র, ধর্মপাল। হিউয়েন সাত রাজা শশাঙ্ককে বৌদ্ধধর্ম বিদ্বেষী বলে আখ্যায়িত করেন। সভাকৰি বানভী হর্ষবর্ধনের জীবনীমূলক গ্রন্থ 'হর্ষচরিত' রচনা করেন।

common.content_added_by

উপমহাদেশে আগত পরিব্রাজক

1.3k
1.3k
common.please_contribute_to_add_content_into উপমহাদেশে আগত পরিব্রাজক.
common.content

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

দ্বিতীয়চন্দ্রগুপ্ত
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ
প্রথম চন্দ্রগুপ্ত
হর্ষবর্ধন

মেগাস্থিনিস

924
924

মেগাস্থিনিস ছিলেন একজন প্রাচীন গ্রীক ইতিহাসবিদ, কূটনীতিবিদ এবং হেলেনিস্টিক যুগে ভারতীয় নৃতত্ত্ববিদ ও অনুসন্ধানকারী। তিনি প্রাচীন গ্রিস এর একজন পর্যটক এবং ভূগোলবিদ। সিরিয়ার রাজা প্রথম সেলুকাসের দূত হিসেবে ভারতীয় রাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য এর রাজদরবারে আসেন। তিনি যখন ভারতে আসেন তখন চন্দ্রগুপ্তের রাজদরবার ছিল ভারতের পাটালিপুত্র নামক স্থানে।

common.content_added_and_updated_by

ফা-হিয়েন

772
772

ফা-হিয়েন চীনের শানসি প্রদেশে আনুমানিক ৩৩১ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম ছিল কুঙ্গ। বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা নেওয়ার পর ফা-হিয়েন রাখা হয়েছিল। তিনি চীন দেশের পরিব্রাজক ছিলেন। ৩৯৯ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম দিকে চীনের রাজধানী চ্যাংগান থেকে ভারতের দিকে রওনা হয়েছিলেন। চ্যাংগান আর পুরনো নাম ছিল হাইফেং এবং পরবর্তীতে নামকরণ হয় সিয়ান।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

দ্বিতীয়চন্দ্রগুপ্ত
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ
প্রথম চন্দ্রগুপ্ত
হর্ষবর্ধন

মা হুয়ান

1.1k
1.1k

মা হুয়ান ছিলেন চীনা পরিব্রাজক। তিনি ১৪০৬ সালে গিয়াসউদ্দিন আযম শাহের আমলে উপমহাদেশে আসেন।

common.content_added_by

ইবনে বতুতা

963
963

ইবনে বতুতা ছিলেন মুসলিম পরিব্রাজক। তিনি ১৩০৪ সালে মরোক্কোয় জন্মগ্রহণ করেন এবং মোহাম্মদ বিন তুঘলকের শাসনামলে ১৩৩৩ সালে ভারতবর্ষে আগমণ করেন। তিনি বাংলায় আসেন ফখরুদ্দিন মোবারক শাহের আমলে। ইবনে বতুতা প্রথমে বিদেশি পর্যটক হিসেবে বাঙ্গালা শব্দ ব্যবহার করেন। জীবনের নিত্যনৈমিত্তিক দ্রব্যের প্রাচুর্য ও স্বল্পমূল্য আর মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য বতুতাকে আকৃষ্ট করলেও এ দেশএর আবহাওয়া তার পছন্দ হয়নি। এজন্য তিনি বাংলার নামকরণ করেন ধনসম্পদপূর্ণ নরক। ইবনে বতুতার কিতাবুল রেহালা নামক গ্রন্থে বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যের বর্ননা পাওয়া যায়।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

প্রাচীন শাসনামলে বাংলার বংশ ও রাজধানী

1k
1k
common.please_contribute_to_add_content_into প্রাচীন শাসনামলে বাংলার বংশ ও রাজধানী.
common.content

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

পাল বংশের মাধ্যমে
সেন বংশের মাধ্যমে
গুপ্ত বংশের মাধ্যমে
মৌর্য বংশের মাধ্যমে
খিলজি শাসন আমলে
সেন শাসন আমলে
মোগল শাসন আমলে
পাল তাম্র শাসন আমলে

মৌর্য সাম্রাজ্য - পাটালিপুত্র

594
594
common.please_contribute_to_add_content_into মৌর্য সাম্রাজ্য - পাটালিপুত্র.
common.content

পাল সাম্রাজ্য - রামাবতী

539
539
common.please_contribute_to_add_content_into পাল সাম্রাজ্য - রামাবতী.
common.content

সেন আমল - নবদ্বীপ

606
606
common.please_contribute_to_add_content_into সেন আমল - নবদ্বীপ.
common.content

রাষ্ট্রকূট - মান্যখেত

481
481
common.please_contribute_to_add_content_into রাষ্ট্রকূট - মান্যখেত.
common.content

প্রতিহার এবং পুষ্যভূতি - কনৌজ

543
543
common.please_contribute_to_add_content_into প্রতিহার এবং পুষ্যভূতি - কনৌজ.
common.content

কুশান - মথুরা

554
554

কুষাণ সাম্রাজ্য

কনিষ্ক ছিলেন কুষাণ সাম্রাজ্যের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। তাঁর চিকিৎসক ছিলেন চরক।চরক আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতির সংকলনগ্রন্থ রচনা করেন, যা 'চরক সংহিতা' নামে সমাধিক পরিচিত। 

common.content_added_by

প্রাচীন বাংলার জনপদ

8.7k
8.7k

প্রাচীন যুগে বাংলা নামে কোনো অর্থও রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিলনা। মূলত, বাংলার যাত্রা শুরু হয় বিক্ষিপ্ত জনপদগুলোর মধ্য দিয়ে। গুপ্ত, পাল ও সেন প্রভৃতি আমলের উৎকীর্ণ শিলালিপি ও বিভিন্ন সাহিত্যগ্রন্থে প্রাচীন বাংলায় প্রায় ১৬টি জনপদের কথা জানা যায় (বাংলায় ছিল ১০টি)। জনপদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন জনপদ হল পুত্র (পুণ্ড্রবর্ধন)। তবে প্রতিটি জনপদের সীমানা সবসময় একইরকম না থাকলেও প্রাচীন বাংলার চিরায়ত আবহ ধারন করে রেখেছে এই শত শত জনপদসমূহ।

বাংলার প্রাচীন জনপদ সমূহঃ

 

প্রাচীন জনপদবর্তমান অঞ্চল
গৌড়ভারতের মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান ও বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ
বঙ্গফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, বগুড়া, পাবনা, ঢাকা, কুষ্টিয়া, কুমিল্লা ও নোয়াখালীর কিছু অংশ এবং ময়মনসিংহের কিছু অংশ
পুণ্ড্রবগুড়া, দিনাজপুর, রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চল
হরিকেলসিলেট এবং চট্টগ্রামের অংশবিশেষ
সমতটকুমিল্লা ও নোয়াখালী
বরেন্দ্রবগুড়া, দিনাজপুর, রাজশাহী ও পাবনা
চন্দ্রদ্বীপবরিশাল
উত্তর রাঢ়মুর্শিদাবাদের পশ্চিমাংশ, বীরভূম, বর্ধমান জেলার কাটোয়া
দক্ষিণ রাঢ়বর্ধমানের দক্ষিণাংশ, হুগলি ও হাওড়া
তাম্রলিপ্তহরিকেলের দক্ষিণে বর্তমান মেদিনীপুর জেলার তমলুক

 

common.content_added_by
common.content_updated_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

পুন্ড্র

1.2k
1.2k

প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনের দিক দিয়ে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ ছিল- পুন্ড্র। এর রাজধানীর নাম ছিল পুণ্ড্রনগর/পুণ্ড্রবর্ধন। পরবর্তীকালে এর নাম হয় মহাস্থানগড়। এর সীমানা রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া (শর্টকাট- রংরাদিব)। পাথরের চাকতিতে খোদাই করা লিপি (প্রাচীনতম) পাওয়া যায়- পুণ্ড্রতে। পুন্ড্র জাতির উল্লেখ পাওয়া যায় বৈদিক সাহিত্য ও মহাভারতে। প্রাচীন পুন্ড্র রাজ্য স্বাধীন সত্তা হারায় সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে।

common.content_added_and_updated_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

গৌড়

925
925

গৌড় জনপদ গড়ে উঠেছিল ভাগীরথী নদীর তীরে। গৌড়ের রাজধানী ছিল- কর্ণসুবর্ণ। কর্ণসুবর্ণ এর অবস্থান ছিল বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলায়। গৌড় জনপদের একমাত্র বাংলাদেশের জেলা- চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এর সীমানা ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া (শর্টকাট- চাপাই মামুন)। গৌড়ের স্বাধীন নৃপতি ছিলেন গৌড়রাজ শশাংক। শশাঙ্কের শাসনামলের পরে বঙ্গদেশ তিনটি জনপদে বিভক্ত ছিল। যথা পুণ্ড্র, গৌড়, বঙ্গ রাজাদের গৌড়রাজ উপাধির জন্য গৌড় জনপদটি পরিচিতি লাভ করে। ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলায় সৃষ্টি হয়- মাৎস্যন্যায়।

আরো কিছু প্রশ্নঃ

→ প্রাচীন গৌড় নগরীর অংশবিশেষ অবস্থিত- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।

→ শশাঙ্কের রাজধানী মুর্শিদাবাদের কর্ণসুবর্ণের অবস্থান ছিল- গৌড় অঞ্চলে

 → রাজা শশাঙ্কের শাসনামলের পরে বঙ্গদেশ বিভক্ত ছিল- ৩টি জনপদে (পুণ্ড্র, গৌড় ও বঙ্গ)।

→ গৌড় অঞ্চলের অনেক শিল্প ও কৃষিজাত দ্রব্যের উল্লেখ পাওয়া যায়- 

কৌটিল্যের ‘অর্থশাস্ত্র' গ্রন্থে।

তৃতীয় ও চতুর্থ শতকে গৌড়ের নাগরিকদের বিলাস-ব্যসনের পরিচয় পাওয়া যায়- 

বাৎসায়নের গ্রন্থে।

গৌড় অঞ্চলের সমৃদ্ধি বেশি ছিল- 

পাল আমলে।

মুসলিম যুগের শুরুতে মালদহ জেলার যে অঞ্চল গৌড় নামে অভিহিত হতো- 

লক্ষ্মণাবতী।

common.content_added_by
common.content_updated_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

বঙ্গ

680
680

ঐতরেয় আরণ্যক গ্রন্থে সর্বপ্রথম 'বঙ্গ' শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রাচীন শিলালিপিতে বঙ্গের দু'টি অঞ্চলের নাম পাওয়া যায়। একটি বিক্রমপুর এবং অন্যটি নাব্য (নিচু জলাভূমি) এর সীমানা ছিল ঢাকা, গাজীপুর, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, বাগেরহাট, পটুয়াখালী। দেশবাচক বাংলা শব্দের প্রথম ব্যবহার হয় আবুল ফজলের আইন-ই-আকবরি আছে। গঙ্গা ও ভাগীরথীর মাঝখানের অঞ্চলকে বলা হতো বঙ্গ। প্রাচীন বঙ্গ দেশের সীমানার উল্লেখ পাওয়া যায় ড. নীহাররঞ্জন রায়ের "বাঙ্গালির ইতিহাস" নামক গ্রন্থে।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

হরিকেল

1.4k
1.4k

হরিকেল জনপদের অবস্থান ছিল বাংলার পূর্ব প্রান্তে। হরিকেল জনপদের রাজধানী ছিল- শ্রীহট্ট (সিলেট)। সীমানা সিলেট থেকে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।

common.content_added_and_updated_by

সমতট

828
828

বঙ্গের প্রতিবেশী জনপদ হিসেবে সমতটের অবস্থান। গঙ্গা-ভাগীরথীর পূর্ব তীর থেকে মেঘনার মোহনা পর্যন্ত অঞ্চলকে বলা হতো সমতট। সমতটের রাজধানী- বড় কামতা, কুমিল্লা শহর থেকে দূরত্ব- ১২ মাইল। এর সীমানা বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী। কুমিল্লার ময়নামতিতে শালবন বিহার অবস্থিত। হিউয়েন সাং-এর বিবরণ অনুসারে কামরূপে সমতট নামে জনপদ ছিল।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার
দিনাজপুর ও রংপুর
কুমিল্লা ও নোয়াখালী
রাজশাহী ও বগুড়া
সিলেট অঞলে
চট্টগ্রাম অঞ্চল
রাজশাহী অঞ্চল
কুমিল্লা অঞ্চল
ঢাকা ও কুমিল্লা
ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা
কুমিল্লা ও নোয়াখালী
ময়মনসিংহ ও জামালপুর
রবিশাল অঞ্চল
খুলনা অঞ্চল
কুমিল্লা অঞ্চল
রংপুর অঞ্চল

বরেন্দ্র

654
654

বরেন্দ্র বা বরেন্দ্রী উত্তরবঙ্গের একটি প্রাচীন জনপদ। এ জনপদটি গঙ্গা ও করতোয়ার মধ্যবর্তী অঞ্চলে গড়ে ওঠে। জনপদটির অন্য আরেকটি নাম- বারেন্দ্রী জনপদ। সীমানা ছিল রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর ও পাবনা জেলা (শর্টকাট- রংয়াদিপ)। পালদের পিতৃভূমি বলা হয়- বরেন্দ্র জনপদকে। বাংলাদেশের প্রথম যাদুঘর “বরেন্দ্র যাদুঘর" রাজশাহীতে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১০ সালে।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

দিনাজপুর জেলায় ১৯৩৫ সালে
রংপুর জেলায় ১৮৭২ সালে
রাজশাহী জেলায় ১৯১০ সালে
রাজশাহী জেলায় ১৯৬৫ সালে
সুন্দরবন
রাজশাহী বিভাগের উত্তর-পশ্চিমাংশ
ময়নামতি ও লালমাই পাহাড়
মধুপুর ও ভাওয়াল গড়
সুন্দরবন
রাজশাহী বিভাগের উত্তর পশ্চিমাংশ
ময়নামতি ও লালমাই পাহাড়
মধুপুর ও ভাওয়াল গড়

তাম্রলিপ্ত

658
658

হরিকেলের দক্ষিণে অবস্থিত ছিল তাম্রলিপ্ত জনপদ । সপ্তম শতক থেকে এটি দণ্ডভুক্তি নামে পরিচিত হতে থাকে। গ্রিব বীর টলেমির মানচিত্রে বাংলায় 'তমলিটিস' নামে বন্দরনগরীর উল্লেখ পাও যায়, যা বাংলার প্রাচীনতম বন্দর।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

প্রাচীন জনপদ
তামার পাতে শাসনাদেশ
প্রাচীন গ্রন্থ
প্রাচীন ভাষা

চন্দ্রদ্বীপ

709
709

বরিশাল জেলার পূর্ব নাম বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ। বাংলার জনপদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র জনপদ চন্দ্রদ্বীপ। এ প্রাচীন জনপদটি বালেশ্বর ও মেঘনার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ছিল। বর্তমান বরিশাল জেলাই ছিল চন্দ্রদ্বীপের মূল ভূ-খণ্ড ও প্রাণকেন্দ্র ।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

রাঢ়

1.5k
1.5k

রাঢ় জনপদের অপর নাম সূক্ষ্ম (রহস্যময়ী) জনপদ । রাঢ়ের রাজধানী কোটিবর্ষ। সীমানা ভাগীরথী নদীর পশ্চিম তীরবর্তী অঞ্চল ।

common.content_added_by

বাকেরগঞ্জ

532
532

বাকেরগঞ্জের সীমানা খুলনা, বরিশাল, বাগেরহাট। (শর্টকাট- বাকের খুবহাটে)

common.content_added_by

সপ্তগাও

502
502

সপ্তগাও এর অবস্থান বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী অঞ্চল ও খুলনা। (শর্টকাট-বঙ্গখুল)

common.content_added_by

কামরূপ

573
573

কামরূপ জনপদ রংপুর, ভারতের জলপাইগুড়ি ও আসামের কামরূপ জেলা নিয়ে বিস্তৃত ছিল।

common.content_added_by
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion